অঘটনের বিশ্বকাপে দ্যুতিময় নেদারল্যান্ডস
দলগুলোর সঙ্গে পার্থক্য কমিয়ে আনছে অন্যরা’, দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ম্যাচের আগের দিন সংবাদ সম্মেলনে বলেছিলেন নেদারল্যান্ডসের রুলফ ফন ডার মেরওয়া। সেটির প্রমাণ দিতে ডাচরা দেরি করেনি একদমই। উজ্জীবিত ক্রিকেটে অলরাউন্ড পারফরম্যান্সে প্রোটিয়াদেরই হারিয়ে দিয়ে তারা চমকে দেয় ক্রিকেট বিশ্বকে! পাল্টে দেয় গ্রুপের চিত্রপট।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সহযোগী দেশগুলোর এমন বিস্ময় জাগানো জয় এটাই প্রথম নয় অবশ্যই। অতীতে ‘অঘটন’ ঘটেছে আরও। নেদারল্যান্ডসই ২০০৯ ও ২০১৪ সালে ইংল্যান্ডকে হারিয়ে সাড়া ফেলে দিয়েছিল ক্রিকেট আঙিনায়।
তবে অস্ট্রেলিয়া আসরে শুধু ডাচারাই নয়, নামিবিয়া, স্কটল্যান্ড, সংযুক্ত আরব আমিরাতও দেখিয়েছে তাদের সামর্থ্যের ঝলক। টি-টোয়েন্টিতে যে এখন খুব একটা পিছিয়ে নেই, ভালোভাবেই পেরেছে তারা সেটার জানান দিতে। পরিষ্কার করতে সক্ষম হয়েছে নিজেদের অবস্থান।
এবারের বিশ্বকাপে সহযোগী দেশগুলোর মধ্যে নিঃসন্দেহে সবচেয়ে সফল নেদারল্যান্ডস। বাছাই পর্বের চ্যালেঞ্জ পেরিয়ে এতদিন বৈশ্বিক আসরে জায়গা করে নিতে হতো তাদের। সেই বৈতরণী পার হতে না পারায় ২০০৭, ২০১০, ২০১২ আসরে অংশই নিতে পারেনি দলটি।
কিন্তু এবার দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করে তারা সরাসরি জায়গা করে নিয়েছে পরের বিশ্বকাপে। ২০২৪ সালের আসরে খেলতে আর বাছাইয়ের ঝামেলায় পড়তে হবে না তাদের।
নেদারল্যান্ডসের মানুষ হয়তো কাতারে ফুটবল বিশ্বকাপে ভার্জিল ফন ডাইক, ফ্রেংকি ডি ইয়ংদের সম্ভাবনা কতটুকু সেটা নিয়েই উদ্বেলিত। অস্ট্রেলিয়ায় বাস ডে লেডে, কলিন আকারম্যানদের দুর্দান্ত পারফরম্যান্স হয়তো ডাচদের বেশিরভাগেরই অজানা। তবে এমন পারফরম্যান্সের পর ক্রিকেট দল বাড়তি মনোযোগ দাবি করতেই পারে।
বাছাই পেরিয়ে অস্ট্রেলিয়া বিশ্বকাপে অংশ নেওয়া নেদারল্যান্ডস প্রাথমিক পর্বে হারিয়ে দেয় আমিরাত ও নামিবিয়াকে। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে হারলেও দেখায় লড়াইয়ের মানসিকতা। দুই জয়ের সুবাদে তারা প্রথমবারের মতো ওঠে সুপার টুয়েলভে।
মূল পর্বেও উজ্জ্বল পারফরম্যান্স উপহার দেয় দলটি। বাংলাদেশের বিপক্ষে পারেনি একটুর জন্য। ওই ম্যাচ জিতে গেলে সেমি-ফাইনালের দৌড়ে বেশ ভালোভাবেই থাকত ডাচরা। অন্য সব সমীকরণ সঙ্গ দিলে হয়তো শেষ চারে উঠেও যেত দলটি।
No comments:
Post a Comment